
এ হাদীসটি এই আয়াতের চমৎকার ব্যাখ্যা পেশ করে। কিন্তু একথা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে, স্ত্রীর জন্য নিজের কাওয়ামের আনুগত্যের চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এব
নারী ও পুরুষ ভুল করে কোথায় | আল বাহি আল খাওলি |
---|---|
প্রকাশনীঃ | পিস পাবলিকেশন |
বইয়ের সাইজঃ | ৫-এমবি |
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ | ২৯১ |
বিভাগঃ | পারিবারিক জীবন |
কৃতজ্ঞতায়ঃ | বাগী কুঞ্জালয় পাঠাগার |
হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "সেই স্ত্রীই সর্বোত্তম, যাকে দেখলে তোমার মন আনন্দে ভরে যায়। তুমি তাকে কোনো আদেশ করলে সে তোমার আনুগত্য করে। আর তুমি ঘরে না থাকলে সে তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার ধন সম্পদের ও তার নিজের হেফাজত করে।"
পুরুষের প্রতি নারীর আনুগত্য
এ হাদীসটি এই আয়াতের চমৎকার ব্যাখ্যা পেশ করে। কিন্তু একথা ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে যে, স্ত্রীর জন্য নিজের কাওয়ামের আনুগত্যের চাইতে বেশী গুরুত্বপূর্ণ এবং অগ্রগণ্য হচ্ছে আল্লাহর আনুগত্য। কাজেই কোনো পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে আল্লাহর নাফরমানি করার হুকুম দেয় অথবা আল্লাহর অর্পিত কোনো ফরজ থেকে তাকে বিরত রাখার প্রচেষ্টা চালায় তাহলে এ ক্ষেত্রে তার আনুগত্য করতে অস্বীকার করা স্ত্রীর জন্য ফরজ হয়ে দাঁড়ায়। এ অবস্থায় যদি স্ত্রী তার 'যওজি'র (হাসব্যান্ডের) আনুগত্য করে তাহলে সে গোনাহগার হবে। বিপরীত পক্ষে পুরুষ যদি স্ত্রীকে নফল নামাজ বা নাফল রোজা রাখতে নিষেধ করে তাহলে হাসব্যান্ডের কথা মেনে চলা তার জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় নফল ইবাদত করলে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। অবশ্য সেই পুরুষকে খাঁটি মুমিন হতে হবে এবং ইবাদতের গুরুত্ব উপলব্ধি করার মতো বিবেক থাকতে হবে।
পুরুষের প্রতি নারীর আনুগত্য
চতুর্থ পয়েন্টে অবাধ্য নারীর সাথে আচরণের সীমা কতদূর তার আলোচনা করা হয়েছে। তিনটি কাজ একই সংগে করার কথা এখানে বলা হয়েনি। বরং এখানে বক্তব্য হচ্ছে, অবাধ্যতা দেখা দিলে এই তিনটি ব্যবস্থা অবলম্বন করার অনুমতি রয়েছে। এখন এগুলোর বাস্তবায়নের প্রশ্ন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যি দোষ ও শাস্তির মধ্যে আনুপাতিক সম্পর্ক থাকতে হবে। যেখানে হালকা ব্যবস্থায় কাজ হয়ে যায়, সেখালে কঠোর অবস্থা অবলম্বন না করা উচিৎ। নবী (সা.) যেখানেই স্ত্রীদের মারার অনুমতি দিয়েছেন। সেখানেই তা দিয়েছেন একান্ত অনিচ্ছাসহকারে এবং লাচার হয়েই। আবার তারপরও একে অপছন্দই করেছেন। তবু কোনো কোনো স্ত্রী এমন হয়ে থাকে যে তাদেরকে মারধর না করলে সোজা থাকে না। এ অবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশ হচ্ছে, তাদের মুখে বা চেহারায় মেরো না-। নির্দয়ভাবে মেরো না এবং এমন জিনিস দিয়ে মেরো না যা শরীরে দাগ রেখে যায়।" নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক
(সাধারণভাবে স্ত্রীদের 'গায়ে হাত তোলা' স্বভাবকে রাসূল (সা.) ও করতেন। তিনি বলতেন "তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী মারা স্বভাবের লোক ভালো মানুষ নও।" সত্যি আমাদের সমাজে কিছু মহিলা এমন আছে যাদের। শান্তি না দিলে পারিবারিক শাস্তিই তারা নষ্ট করে ফেলে। পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তারা এত দুর্ব্যবহার করে যে শাস্তি তাদের প্রাপ্য।
কোরআন হাদীস সংকলনের ইতিহাস - একেএম এনামুল হক | ডাউনলোড |
---|---|
মুসলমানের নিকট আল কুরআনের দাবী | ডাউনলোড |
আল কুরআনে অর্থনীতি pdf download | ডাউনলোড |
আখেরাতের সফলতাই আসল সফলতা
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَى مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنْفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ، يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ لَن وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَةِ وَالْإِنْجِيلِ وَالْقُرْآنِ ، وَمَنْ أَوْفَى بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُمْ بِهِ ، وَذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
"প্রকৃত ব্যাপার এই যে আল্লাহ মু'মিনের জান ও মাল জান্নাতের বিনিময়ে কিনে নিয়েছেন। তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে মরে ও মারে। তাদের প্রতি তাওরাত ইনজিল ও কুরআনে আল্লাহর জিম্মায় একটি পাকাপোক্ত ওয়াদা বিশেষ। আর আল্লাহর চাইতে বেশী নিজের ওয়াদা পূরণকারী আর কে আছে? কাজেই তোমরা আল্লাহর সাথে যে কেনাবেচা করেছ সে জন্য আনন্দ করো। এটিই সবচেয়ে বড় সাফল্য।" (সূরা তাওবা: ১১১)
أَلَا إِنْ أَوْلِيَاءَ اللَّهِ لَأَخَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَاهُمْ يَحْزَنُونَ الَّذِينَ آمَنُوا وكَانُوا يَتَّقُونَ لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَيَوةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ ، لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَتِ اللَّهِ ، ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
"শোনো যারা আল্লাহর বন্ধু, ঈমান এনেছে এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন, তাদের কোনো ভয় ও মর্ম যাতনার অবকাশ নেই। দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জীবনে তাদের জন্য শুধু সুসংবাদই রয়েছে। আল্লাহর কথায় পরিবর্তন নেই। এটিই মহাসাফল্য।" (সূরা ইউনুস: ৬২-৬৪)
নারী ও পুরুষ পরস্পরের বন্ধু ও অভিভাবক
আল্লা আবার বলেছেন,
وَعَدَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَتِ جَنَّتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَرُ خُلِدِينَ فِيهَا وَمَسْكِنَ طَيِّبَةٌ فِي جَنَّتِ عَدْنٍ ، وَرِضْوَانٌ مِّنَ اللَّهِ أَكْبَرُ ، ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ.
"মু'মিন পুরুষ ও নারীকে আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদেরকে তিনি এমন বাগান দান করবেন যার নিম্নদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহমান হবে এবং তারা তার মধ্যে চিরকাল বাস করবে। এসব চির সবুজ বাগানে তাদের জন্য থাকবে বাসগৃহ এরং সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করবে। এটিই সবচেয়ে সাফল্য।" (সূরা তওবা: ৭২)