প্রাপ্ত বয়সে বিয়ে না দেওয়ায় অভিশাপ দিলো তার মেয়ে

 

গ্রাজুয়েট শেষ করার পরও বাবা বিয়ে দেয়নি তার মেয়েকে ৷ বাবা তাকে বলেছিলেন আগে পড়াশুনা শেষ করো, তারপর অন্যকথা। বাবার কথামতো মেয়েটি পোস্টগ্রাজুয়েট, পিএইচডি শেষ করলেন। এই ফাঁক দিয়ে একজন স্বাভাবিক তরুণীর মতোই বোনটির দীর্ঘশ্বাস দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে লাগলো।

মূল সমস্যা হচ্ছে এত উচ্চশিক্ষিতা মেয়ের জন্য উচ্চশিক্ষিত ছেলে পাওয়া খুবই কঠিন ৷ একসময় বোনটি ভার্সিটির প্রফেসর হয়ে গেলেন। কলিগরা বিয়ের প্রস্তাব দিলে সেখানেও বাবা না করে দেন। 

তার বাবার কাছে কোন ছেলের চেহারা ভালো লাগে না তো কোনো ছেলের টাকাপয়সা (তার কাছে) কম মনে হয়। হতে পারে মেয়ের জন্য পারফেক্ট ছেলে খুঁজতে গিয়ে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, আসলে পৃথিবীতে কেউই শতভাগ পারফেক্ট না। এমনকি তার মেয়েও না। 

এর মধ্যে বহু নদীর জল বহু জায়গায় গড়াল। বোনের বয়সও ত্রিশ পেরিয়ে চল্লিশের দিকে এগোলো। প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে ভুগে একসময় হাসপাতালে ভর্তি হলেন তিনি। 

সামান্য অসুখই তীব্র আকার ধারণ করায় একসময় বোনটা মারা যাওয়ার উপক্রম হলো। মৃত্যুর সামান্য আগে বাবাকে কাছে ডেকে বললেন, বাবা, বলুন আমিন।

বাবা বললেন, আমিন।

- আবার বলুন আমিন।

- আমিন।

- আরেকবার বলুন আমিন।

- আমিন।

বোনটা তারপর বুকে একরাশ ব্যাথা নিয়ে বললেন, [ওয়াল্লাহি! আল্লাহর কসম!] “আল্লাহ যেন আপনাকে আখিরাতে জান্নাতের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেন যেভাবে আপনি আমার যৌবনে আমাকে বিয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত করেছেন।”

ঘটনা টা শুনে আমি কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। নিজের অজান্তেই দুচোখ অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠলো 

সাবধান! শ্রদ্ধেয় মা-বাবারা!!! নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআ'লা মাজলুমের পক্ষে আছেন।

সংগ্রাহকঃ এবি হাসান

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url